এবারের অ্যাশেজ নিয়ে শঙ্কার মেঘ কেটে গেছে অনেকটা। ইংল্যান্ড দলকে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে ইংল্যান্ডের বোর্ড সদস্যরা। তবে কিছুটা অনিশ্চয়তা এখনও আছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু শর্ত পূরণ করা হলেই সফরে যাবে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) এক সভার পর শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে সফর নিয়ে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া সরকারের কঠিন কোভিড প্রটোকল ও সেখানে কোনো রকমের ছাড় না দেওয়ার ঘোষণার পর এবারের অ্যাশেজ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। পরিবার থেকে লম্বা সময় দূরে থাকতে হবে বলে ইংলিশ ক্রিকেটারদের অনেকেই প্রকাশ্যে বা আড়ালে নিজেদের অনীহা ও অনিশ্চয়তার কথা জানান।
বিশেষ করে, সব সংস্করণই খেলেন, এমন ক্রিকেটারদের জন্য আইপিএল ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে এরপরই আবার অ্যাশেজ খেলতে যাওয়া মানে টানা কয়েক মাসের জৈব-সুরক্ষা বলয়ের জীবন। টেস্ট অধিনায়ক জো রুট কিছুদিন আগে সফরে যেতে ‘মরিয়া’ বলে দাবি করলেও একইসঙ্গে জানান, যাওয়ার নিশ্চয়তা তিনি দিতে পারছেন না। গত কিছুদিনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবশ্য নানারকম উদ্যোগের কথা বলার পর সফর নিয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়।
ইসিবি বোর্ডের সিদ্ধান্তেও সেটির প্রতিফলন। “ইংল্যান্ডের ছেলেদের দলের অ্যাশেজ সফর নিয়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় আমাদের দারুণ অগ্রগতি হয়েছে। প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নিতে এবং দল নির্বাচনের অনুমতি দিতে ইসিবি বোর্ড আজ (শুক্রবার) একত্র হয় এবং সফর এগিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেয়। আমাদের যাত্রা শুরুর আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শর্ত পূরণ হলেই এই সিদ্ধান্ত পাল করা হবে।” “ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চলমান সহায়তা ও এই ব্যাপারগুলোর সমাধান করার অপেক্ষায় থাকব আমরা।” ইংল্যান্ডের এই সবুজ সঙ্কেত অস্ট্রেলিয়ার জন্য আপাতত বড় স্বস্তি। এবারের অ্যাশেজে টিভি সম্প্রচার থেকেই ২০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার আয় করার কথা তাদের। সিরিজ না হলে তাই মোটা অঙ্কের অর্থ হাতছাড়া হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।